হস্তরেখাবিদ্যার আধুনিক বিশ্লেষণ।

হাতের রেখা তার ধারকের শারিরীক, মানসিক বৈশিষ্ট্যসহ আরও অনেক কিছু সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা দেয়। তাই হস্তরেখাবিদ্যা একটি স্বয়ংসম্পূর্ণবিদ্যা। এ বিদ্যা ভাগ্য গননা নয়। নিষিদ্ধবিদ্যা নয়। এ বিদ্যা শুধু সম্ভাবনার কথা বলে অনিবার্য কিছু জানেনা। হস্তরেখাবিদ্যা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া অনুস্মরন করে চর্চ্চিত হয়। কোন একটি রেখা এককভাবে কোন অর্থ প্রকাশ করেনা। একটি সমন্বিত পদ্ধতিতে পুরো হাতটি বিশ্লেষন করে তবেই ফলাফল বর্নিত হতে পারে। বিশ্লেষণের সুবিধার্থে হস্তরেখাবিদ্যা দুটিভাগে বিভক্ত। প্রথম ভাগের নাম- চিরগনমি (Chirognomy) আর দ্বিতীয় ভাগের নাম- কিরোম্যানসি (Chiromancy)। Continue reading →

সম্ভাব্য আত্মহত্যাকারীর হাতের রেখা চিনুন

ইদানিং ব্লু হোয়েল গেমের পরিনতিতে বিশ্বব্যাপী বহু লোকের আত্মহত্যার কথা জানা যায়, যাদের মধ্যে বাংলাদেশেরও দুজন কিশোর-কিশোরীর করুন মৃত্যু আমাদেরকে মর্মাহত করে! অনেক অভিভাবকের উদ্বেগের কথা বিভিন্ন মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে উঠে আসে। এই মুহূর্তে সকল অভিভাবকের উদ্বেগের অবসানকল্পে আমার পক্ষথেকে হস্তরেখাবিদ্যায় সম্ভাব্য আত্মহত্যাকারীর হাতের রেখার পরিচয় দেয়া নৈতিক দায়িত্ব মনে করে এই বিষয়ে লিখছি। তার আগে জানা দরকার মানুষ আত্মহত্যা করে কেন? পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, জানা-অজানা প্রিয়জন থেকে শুরু করে চারপাশের পরিবেশ-প্রকৃতি সবকিছুকে ভালবেসে মানুষ জীবনযাপন করে। তার ওপরে মানুষ সবচেয়ে ভালবাসে তার নিজেকে। তারপরও এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে সে চলে যেতে চায় কেন? নিজেকে এত ভালবেসেও সে আত্মহণন করতে যায় কেন? Continue reading →

তকদীর প্রসঙ্গে হাদীসে কুদসী।

ইসলাম ধর্মে তকদীরে বিশ্বাস স্থাপন করা ঈমানের অঙ্গ। তকদীরের অর্থ এইযে, ভবিষ্যতে প্রত্যেক সৃষ্টির জীবনে কি ঘটিবে অনাদিকাল হইতে আল্লাহ্ তা’আলা তাহা সুরক্ষিত ফলকে (লাওহে মাহফুজ) লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিয়াছেন। মানুষকে কাজ করার ইচ্ছা, আগ্রহ ও ক্ষমতা আল্লাহ্ দান করিয়াছেন। কখন মানুষ কি কাজ করিবে তাহাও আল্লাহ্’র জ্ঞানে রহিয়াছে। ইহা আল্লাহ্’র একটি বিধান। কাজ করার ইচ্ছাশক্তি আল্লাহ্ প্রদত্ত হইলেও আল্লাহ্ মানুষকে ভাল-মন্দের জ্ঞান দান করিয়াছেন ও যুগে যুগে নবী-রাসূল প্রেরণ করিয়া সতর্ক করিয়াছেন। সুতরাং মানুষের ইচ্ছাশক্তি প্রয়োগের কোন ক্ষমতা নাই ইহা বলা চলেনা; বরং ইহা বলা যায় যে, মানুষ আল্লাহ্’র অনুমোদন ছাড়া যাহা ইচ্ছা করিতে পারেনা। মানুষের ইচ্ছাশক্তি আছে, কিন্তু উহা আল্লাহ্’র নিয়ন্ত্রণাধীন। মানুষ যেমন সীমাবদ্ধ ক্ষমতা, সীমাবদ্ধ জ্ঞান এবং সীমাবদ্ধ গুণাবলীর অধিকারী, তেমনি তাহার ইচ্ছাশক্তি প্রয়োগের ক্ষমতাও সীমাবদ্ধ। Continue reading →

রত্নবিদ্যা সম্পর্কে হাদীস

হাদীস শরীফে বর্ণিত হইয়াছে, যে ব্যাক্তি জমরূদ পাথরের কিংবা আকীক পাথরের আংটি পরিবে অথবা সঙ্গে রাখিবে, সে কখনও দরিদ্র হইবেনা ও সর্বদা প্রফুল্ল মনে কাল যাপন করিবে।

হযরত সালমান ফারসী(রাঃ) হইতে হযরত রসূল(সাঃ) এর এইরূপ ১০টি হাদীস বর্ণিত হইয়াছে, যদ্বারা মানুষ ধনী ও সৌভাগ্যশালী হইতে পারে। তন্মধ্যে প্রথম দুইটি- (১) মাতা-পিতার সহিত সদ্ব্যবহার করা। (২) আকীক পাথরের আংটি আঙ্গুলে পরিধান করা।

হাদীস সূত্রঃ- নেয়ামূল কোরআন-৫৩ পৃষ্ঠা, দ্বাবিংশ সংস্করণ, রহমানিয়া লাইব্রেরী, ঢাকা।

ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও হস্তরেখাবিদ্যা এবং কোরআনের দুটি আয়াত।

হস্তরেখাবিদ্যা অতিপ্রাচীন বিদ্যাসমূহের একটি। হস্তরেখাবিদ্যার সত্যতার প্রমান প্রত্যেকটি মানুষ নিজেই দিয়ে থাকে তার সমগ্র জীবনে। কিন্তু তা বুঝতে হলে হস্তরেখাবিদ্যার কিছুটা হলেও জ্ঞান থাকতে হবে। হস্তরেখাবিদ্যার সত্যতার সমর্থন যে পবিত্র কোরআন থেকেই পাওয়া যায় সেটিই আমার আলোচ্য বিষয়। কিন্তু তার আগে ইদানিং বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত “বায়োমেট্রিক” শব্দটির সাথে আরও একটু পরিচিত হওয়া দরকার। Continue reading →

মেঘরাজ্য সাজেক আর মনোহর কাপ্তাই লেক ভ্রমন।

মনোরম প্রকৃতির আহ্বান এড়াতে পারেন খুব কম লোকই আছেন। পাহাড়, নদী, জলাশয়, দিগন্তজুড়ে সবুজ, ছায়াঘেরা বন-বনানী কিংবা আঁকাবাঁকা মেঠোপথ চিরকালই আমাকে আকর্ষন করতো। মনে আছে আমার বয়স সতেরো পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই সেই ১৯৭২ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারী প্রকৃতির রূপ উপভোগের জন্য প্রথম বাড়ি থেকে পালিয়ে ভারতে যাই। আজ ৬২ বৎসর বয়সে এসেও প্রকৃতির সৌন্দর্য‌ উপভোগের লোভ একটুও কমেনি। তাই শত ব্যস্ততার মাঝেও প্রকৃতির আহ্বানে সাড়া দিয়ে গত ২৩ শে নভেম্বর ২০১৬ হঠাৎ সংক্ষিপ্ত পরিকল্পনায় খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি ভ্রমনে বেড়িয়ে পড়লাম। Continue reading →

নয় সংখ্যার মানুষ হয় সাহসী, সংগ্রামী, স্বাধীনতাপ্রিয়, একগুঁয়ে, রাগী ও কর্মঠ।

তারা অন্যকে অনুসরন করেনা, বরং অন্যে তাহাকে অনুসরন করুক সেটাই কামনা করে। তারা মনে করে তাদের জন্ম আদেশ মান্য করার জন্য নয়, বরং আদেশ করার জন্য। তারা পরিকল্পনা করে দ্রুত ফল লাভের আশা করে। তবে তারা বাস্তবধর্মী আদর্শের অধিকারী। সর্বদা কাজে উৎসাহী এবং সংগ্রামী। বিপুল শক্তির অধিকারী। কোনকিছুকে অবহেলা করেনা। যুদ্ধের গান, ছবি, সিনেমা, নাটক, গল্প ইত্যাদি বেশি পছন্দ। যুদ্ধভাবাপন্ন মনোভাব। সবকিছু অতিরঞ্জিত করে পার্থক্য দেখাতে পারে। অন্যের দূর্বলতার সুযোগে নিজের কাজ সমাধা করতে পিছপা হয়না। নয় সংখ্যা বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা তাদের পথে জয়ী হয়। জীবনে অনেক বাধার সম্মুখিন হয়, বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু ঐসব থেকে তারা নিরাপদে বেড়িয়ে আসতে পারে। অনেক ব্যাপারে তাদের ব্যক্তিগত ঝুঁকি থাকে, কিন্তু যেখানে আদর্শের প্রশ্ন থাকে, সেখানে তারা কোন মূল্যের তোয়াক্কা করেনা। Continue reading →

আট সংখ্যার মানুষ হয় বিজ্ঞ, অধ্যবসায়ী, দূরদর্শী, বিবেকবান, পরিশ্রমী, সহিষ্ণু, গম্ভীর, বিদ্রোহী এবং অদৃষ্টের হাতের পুতুল।

তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, তীব্র আত্মসম্মানবোধ, প্রবল প্রতাপ এবং বিপুল বৈশাদৃস্যময় জীবন তাদের। তারা ধীর-স্থির ও কর্তব্য কাজে অটল, বহু বাধা বিপত্তিতেও তাদেরকে কর্তব্য থেকে টলানো যায়না। তাদেরকে সাধারন মানুষ সব সময় ভুল বোঝে। হয়তো মনেকরে স্বার্থপর, ভীতু, অহংকারী বা পরশ্রীকাতর। আসলে তারা আত্মকেন্দ্রিক বটে, কিন্তু উদার হৃদয়, পরদুঃখকাতর এবং বৈশিষ্ট্যময় স্বাতন্ত্রতা সম্পন্ন। তাদের ভিতরে তপ্ত তেজ থাকলেও বাহিরে স্বল্পবাক। সেজন্যই খুব কম কথা বলা তাদের স্বভাব। জীবনে তাদের নিঃশব্দে নিঃসঙ্গতা নেমে আসতে পারে! সুফি বা বাউলদের মতো অপার্থিব স্পর্শ সুখ পাওয়ার জন্য ব্যাকুল তারা। কঠোর তাপস, অমৃতের সন্ধানী, পার্থিব বস্তুর সাথে অপার্থিব উপলব্দির সমন্বয় খোঁজে, কোন সত্যই সহজ সাধ্য নয়- এটিই বোঝাতে চায়। তাই তাদের মনের মানুষ কেউ নয়। তবে ভালবাসলে সব ত্যাগ করতে পারে। Continue reading →

সাত সংখ্যার লোকেরা হয় অচতুর, উদাসীন, কল্পনাপ্রবন, চিন্তাশীল ও জ্ঞানপিপাসু।

তারা চিন্তাবিদ, দার্শনিক, উচ্চশ্রেণীর লেখক, চিত্রকর, পণ্ডিত ও ধর্মভীরু। তবে ধর্মীয় ব্যাপারে তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গী থাকতে পারে। দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হলেও ক্ষণিকের অনুপ্রেরণা তাদের আনন্দ দেয়। কথিত বাস্তবতার চেয়ে কল্পনাশক্তিই তাদের কাছে অনেক সত্য; যদিও সুদৃঢ় ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তাদের নিজেদের দীর্ঘদিনের অনুভূতির উপর নির্ভর করে কাজ করতে কিছুতেই ভুল করেনা। কিন্তু অন্যদের উপদেশ শুনে তারা বিপথগামী হয় এবং সত্যই অনেক দুঃখ ভোগ করে। পড়াশোনায় তাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি থাকে এবং যদি তারা ছেঁড়া পোষাকও পড়ে, তবু তারা সর্বত্র সুমর্যাদা পায়। তাদের মানসিক অগ্নিশিখা পারিপার্শ্বিক ঘূর্ণিবাত্যাকে ব্যাঘাত করেনা। অভ্যাস ও মনের দিকে তারা খুব সাদাসিদে। তাড়াতাড়ি পরিকল্পনা তাদের বিপদ ডেকে আনে, দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনাই তাদের জন্য উত্তম। Continue reading →

ছয় সংখ্যার মানুষ হয় শান্তিপ্রিয়, বিলাসী, প্রেমময় ও শিল্পমনা।

তারা শুভবুদ্ধি সম্পন্ন, ধীরস্থির, ঝগড়া-বিবাদ পছন্দ করেনা বা সহজে বিবাদে জড়াতে চায়না, শান্তির জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে জানে অর্থাৎ যেকোন মূল্যে শান্তি কিনতে প্রস্তুত। ভাববিলাসী, স্বপ্নের জগতে থাকতে চায়, বিপরীতলিঙ্গের সঙ্গে সম্পর্ক নিবির। প্রেম-ভালবাসায় আকর্ষন প্রবল। সূক্ষ্মরুচিবোধ, ভোগ, কামনা, বাসনা যেমন আছে, তেমনি আছে সম্পদ, ঐশ্বর্য আর বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষন। আছে ভদ্রতা, কেতাদুরস্ত আদব কায়দা ও বিলাসিতার প্রতি আকর্ষণ। বিজ্ঞান, ভূতত্ব, বিভিন্ন শাস্ত্র অধ্যয়নে অদম্য স্পৃহা আছে। একাধিক বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে যৌনক্ষুধা মেটানোর চাতুরী জানা আছে। সমাজে আনন্দই তার একমাত্র নেশা। কল্পনাই তার নিত্য সঙ্গী। ছন্দময় লঘু সঙ্গীতের ভক্ত। নিজের প্রতি অন্যকে আকর্ষণ করার ক্ষমতা প্রবল। অন্য সংখ্যার লোকেরা সহজেই তাদের প্রেমে পড়ে। তারা নিজেরাও সুন্দরের প্রতি আকর্ষিত হয়। পবিত্রতা ও সুগন্ধ দ্রব্য তাদের পছন্দ, অম্লরস তাদের প্রিয়, তারা সুজন ও শাষ্ত্রজ্ঞ। Continue reading →

পাঁচ সংখ্যার মানুষ হয় বাকপটু, মেধাবী, সতর্ক ও চঞ্চল।

পাঁচ সংখ্যার মানুষেরা সকল কাজে দক্ষ এবং উপস্থিত বুদ্ধি সম্পন্ন। তীক্ষ্ণ মেধা, ধীশক্তি এবং সংবেদনশীল। যেকোন পরিবেশে উপস্থিত বুদ্ধির বলে সহজেই নিজের সম্মান প্রতিষ্ঠা করতে পারে। সুনাম অর্জন করতে পারে। দ্রুতগতিতে ক্ষমতার উচ্চ শিখরে উঠতে চায়। জ্ঞানী-গুণীর সান্নিধ্য লাভ করে। বুদ্ধিমান, বাস্তববাদী, বাকপটু, ধৈর্য্যশীল, সতর্ক, চঞ্চল, চতুর, যুক্তিবাদী, অনেক সময় অযথা চিন্তা করে। নানাভাবে জীবনকে দেখে। সব কাজে একসঙ্গে হাত দিতে চায়। কোনটা আগে শেষ করবে বুঝে উঠতে পারবেনা। Continue reading →

জিনতত্ত্ব

জিনতত্ত্ব বা জেনেটিক্স হল জিন, বংশবৈশিষ্ট্য এবং এক জীব থেকে আরেক জীবের জন্মগত চারিত্রিক সাযুজ্য ও পার্থক্য সম্বন্ধীয় বিজ্ঞান। উইলিয়াম বেটসন ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে জেনেটিক্স শব্দটির প্রবর্তন করেন। জীবমাত্রই যে তার পিতা-মাতার বৈশিষ্ট্য আহরণ করে তা প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই মানুষের জানা এবং নির্বাচিত প্রজননের মাধ্যমে তারা শস্য ও গৃহপালিত পশুর মধ্যে কাঙ্খিত গুণাবলীর সমাবেশ ঘটিয়েছে। তবে বংশগতির মূলসূত্র অনুসন্ধানে অভীষ্ট আধুনিক জিনতত্ত্বের বয়স খুব বেশি নয়। ঊনবিংশ শতাব্দীতে অস্ট্রিয়ান ধর্মযাজক গ্রেগর মেন্ডেলের গবেষণার মধ্য দিয়ে এই বিজ্ঞানের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। [১] তখনো মানুষ বংশগতির গাঠনিক ভিত্তি সম্বন্ধে খুব বেশি অবহিত ছিল না। তদসত্ত্বেও মেন্ডেল তাঁর পর্যবেক্ষণ থেকে ধারণা করেছিলেন পিতা-মাতা থেকে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পরবর্তী প্রজন্মে সঞ্চারিত হয় বংশগতির কিছু বিচ্ছিন্ন একক দ্বারা, যাদের পবের্তীতে জিন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। Continue reading →

রাশিচক্র

জ্যোতির্বিজ্ঞানে রাশিচক্র (ইংরেজি ভাষায়: Zodiac, গ্রিক ভাষায়: ζῳδιακός বা জোডিয়াকোস) বলতে আকাশে সূর্যের আপাত গতিপথের ১২টি ভাগকে বোঝায়। এই আপাত গতিপথের নাম ভূকক্ষ কারণ, প্রকৃতপক্ষে এটি সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর কক্ষপথ। ভূকক্ষের খ-দ্রাঘিমাকে ১২টি ভাগে ভাগ করা হয় যার প্রতিটি ৩০ ডিগ্রি করে। এভাবে মোট ১২টি বিভাগ মিলে ৩৬০ ডিগ্রি তথা একটি বৃত্ত তৈরি করে। ভূকক্ষের সমতল থেকে ৮-৯ ডিগ্রি উত্তর বা দক্ষিণ (খ-অক্ষাংশ) পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলটিকে বলা হয় রাশিবন্ধনী (zodiacal belt)। চাঁদ এবং খালি চোখে দৃশ্যমান গ্রহগুলোর গতিপথও এই বন্ধনীর মধ্যে অবস্থান করে।

কিন্তু বাস্তবিক অর্থে রাশিচক্র কেবলই একটি খ-স্থানাংক ব্যবস্থা, আরও নির্দিষ্ট করে বললে এটি এক ধরণের ভূকক্ষীয় স্থানাংক ব্যবস্থা। প্রতিটি স্থানাংক ব্যবস্থা তৈরি করতে প্রয়োজন পড়ে একটি প্রসঙ্গ তল যেখান থেকে অক্ষাংশ গণনা শুরু হয়, এবং প্রসঙ্গ তলে এমন একটি প্রসঙ্গ বিন্দু যেখান থেকে দ্রাঘিমাংশ গণনা শুরু হয়। রাশিচক্রের ক্ষেত্রে সেই প্রসঙ্গ তল হচ্ছে ভূকক্ষ এবং ভূকক্ষের প্রসঙ্গ বিন্দুটি হচ্ছে মহাবিষুবের সময় সূর্যের অবস্থান। Continue reading →

চার সংখ্যার মানুষ হয় বাস্তবমুখি ও বুদ্ধিমান।

তারা নিজস্ব ব্যক্তিত্ব নিয়ে থাকেন, তাদেরকে পরিষ্কার ভাবে বোঝা কঠিন। উল্লেখযোগ্য ও স্বাতন্ত্রতা বোধের জন্য তাদেরকে গম্ভীর, গর্বিত ও তীক্ষ্ণ বলে মনে হতে পারে। সাধারন বা ছোট খাট বিষয়ে না জড়িয়ে তারা বৃহত্তর ব্যাপারে মাথা ঘামাতে পারেন। রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক, অর্থনৈতিক বা আধ্যাত্মিক জীবনে তারা বিপ্লব আনার চেষ্টা করেন। শ্রমিক আন্দোলন ও সাংগঠনিক কাজে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করতে পারেন। যেকোন কাজে তাদের দক্ষতার পরিচয় থাকে। বিপাকে পড়লে কৌশলে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন, এমনকি নিজেকে পাল্টাতেও পারেন। আর্থিক লেন-দেনে অনর্থক সময়ক্ষেপন করতে পারেন। তাদের প্রতিভা বহুমুখী, চিন্তা সীমাহীন, আশা মাত্রাতিরিক্ত। কুসংস্কার মানেন না। অপরের মতামত গ্রাহ্য করেন না। আত্ম প্রশংসা পছন্দ করেন। নিজের পাওনা ষোল আনা বুঝে নিতে চান। Continue reading →

তিন সংখ্যার লোকেরা হয় ধীর স্থির নিয়মানুবর্তি ও ধার্মিক।

মানুষের জীবন যাত্রায় তিন সংখ্যার ক্রিয়া কলাপ অসীম। যে কোন সংখ্যার লোকের মধ্যে এই সংখ্যাটি কখনো প্রত্যক্ষ আবার কখনো পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করে। এটি বৃহস্পতির প্রতীক। চাকুরী, ব্যবসা বা ধর্মীয় বিষয়ে তারা কর্মদক্ষতা প্রমান করতে পারে। তারা ধীর স্থির, নিয়মানুবর্তি, বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন ও ধার্মিক। সবার সাথে খাপ খাওয়াতে চেষ্টা করে। পরমতাবলীতে নিবেদিত প্রাণ তারা। তাদের জীবনে উথ্থান-পতন জনিত জীবন নাট্যের ক্লাইমেক্স খুব কমই দেখা যায়। তবে অনেক ক্ষেত্রে লোভনীয় নেতা হবার সুযোগ আসলেও অনেকে অনাগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। তাদের মধ্যে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে একটা আধ্যাত্মিক চেতনা বৃদ্ধি পায়। Continue reading →

দুই সংখ্যার লোকেরা হয় আবেগপ্রবন।

সংখ্যাতত্ত্ব মতে দুই সংখ্যার লোকেরা হয়- আবেগপ্রবন, অনুভূতিশীল, কোমল হৃদয়, কল্পনাপ্রিয়, ভদ্র, নম্র, লাজুক, বৈচিত্রপ্রিয় ও শিল্পীমনা। তারা ভাবপ্রকাশে কুন্ঠিত এবং তাদের মন ও চিন্তা দ্বি-ধারায় প্রবাহিত হয়। তাদের মনের স্থিরতা নেই বলে ভাবধারায় দ্রুত পরিবর্তন আসে। তাদের আত্ম-সম্মান জ্ঞান প্রচণ্ড। তাই আত্ম-সম্মান বিসর্জন দিয়ে তারা কোন কিছু করতে পারেনা। তারা সামাজিক রীতি-নীতির প্রতি আকৃষ্ট। জীবন ও ঘর-সংসার তাদের কাছে প্রিয়। তারা আত্মত্যাগী বলে প্রিয়জনদের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে জানে। তাদের জীবনের ট্র্যাজেডি হল Continue reading →

এক সংখ্যার মানুষ হয় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন।

তাকে ধীরস্থির ও গম্ভীর মনে হলেও দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে জানে, কর্মে সক্রিয়, তেজী, নির্ভীক, পরাক্রমশালী, আত্মবিশ্বাসী, অহংকারী, চতুর, বাস্তববাদী এবং উচ্চাকাঙ্খী। উচ্চাকাঙ্খা বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকে। সহজে হার স্বীকার করেনা। মনোবল প্রচুর বলে ভয় পেয়ে পিছু হটেনা। প্রবল বিপর্যয়ের মধ্যেও ধীরস্হিরভাবে কুটিল বুদ্ধির দ্বারা এগিয়ে যেতে পারে। অন্যকে বোকা বানাতে পারে। নিজের অবস্থান দৃঢ় করার জন্য যা করা দরকার করতে পারে। চেহারায় আকর্ষনীয় শক্তি থাকায় সহজেই অন্যেরা আকৃষ্ট হয়। ব্যক্তিত্বসম্পন্ন বলে Continue reading →

সংখ্যার শিকল থেকে কেউ মুক্ত নই।

সংখ্যার একটি গোপন শক্তি আছে! আর তা এমন এক শক্তি যা শুধু প্রকৃতির শক্তির সাথেই তুলনা করা চলে। কেননা মানুষ জগতের সকল আইনকে অমান্য করতে পারলেও সংখ্যাকে কেউ উপেক্ষা করতে পারেনা। এড়িয়ে যেতে পারেনা। সংখ্যার শক্তি গোপনে মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র, প্রতিটি কর্ম, প্রতিটি বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছে। কেউ যদি সংখ্যার শক্তি সম্বন্ধে অবগত নাও থাকে বা এ বিষয়ে কোন আগ্রহও না থাকে, তবুও সে সংখ্যাকে মেনে চলছে। সংখ্যার অলৌকিক মহাশক্তির কাছে আমরা সকলেই তার ইচ্ছাধীন। সংখ্যার শিকল যে মানুষকে গোপনে বেঁধে রেখেছে এবং এ থেকে মুক্তি পাওয়ার যে পথ নেই তার প্রমান সকলেই দিবেন। সংখ্যার যে অলৌকিক মহাশক্তি আছে, তা আমরা আমাদের দৈনন্দিন কাজের বিশ্লেষণ করলেই বুঝতে পারব। আর তখনি কোরআনের কথার নির্ভূল সত্যতা অনুধাবন করতে পারব। Continue reading →

জন্মসংখ্যা ও নামসংখ্যা নির্ণয় পদ্ধতি।

পূর্বের পোস্টেই বলেছিলাম সংখ্যা নির্ণয় পদ্ধতি জানাব, তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক আমাদের প্রত্যেকের সংখ্যাগুলি। সংখ্যা দুই প্রকারে নির্ণয় করা যায়, একটি জন্মসংখ্যা অপরটি নামসংখ্যা। সঠিক জন্মতারিখ জানা থাকলেই শুধু জন্মসংখ্যা নির্ণয় করা সম্ভব। নতুবা নামসংখ্যাই ধরতে হবে। উল্লেখ্য যে, জন্মসংখ্যার মত নামসংখ্যা অতটা ভূমিকা রাখতে পারেনা বলে জন্মসংখ্যার গুরুত্বই বেশি। আবার জন্মসংখ্যাও দুই প্রকারের, একটি জন্মদিনের সংখ্যা অপরটি জন্মতারিখের সংখ্যা। যেমন, কারো জন্ম ১৪ জুন ২০১৩ যদি হয়, তাহলে তার জন্মদিনের সংখ্যা হল- ৫। আর তার জন্মতারিখের সংখ্যা হল- ৮। যদিও দুটি সংখ্যাই তার জীবনে প্রভাব বিস্তার করবে, তবে জন্মদিনের সংখ্যাই হবে মূখ্য। এবার বলছি কিভাবে সংখ্যা দুটি নির্ণিত হল। Continue reading →

সংখ্যাতত্ত্ববিদ্যা কি করতে পারে?

সংখ্যাতত্ত্ববিদ্যা সংখ্যা প্রতীক নিয়ে কাজ করে কারো নাম ও জন্মতারিখকে সংখ্যাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে তার ব্যক্তিত্ব, বৈশিষ্ট্য, আবেগের বিষয়গুলি, শক্তি ও বুদ্ধিমত্তা সর্বোপরি ভিতরের প্রকৃত মানুষটিকে জানতে সাহায্য করে আর ভিতরের প্রকৃত মানুষটিকে জানতে যে বিদ্যা সাহায্য করতে পারে সে বিদ্যা অবশ্যই মানুষের কল্যান করে তা ছাড়া কোন স্থান, সময়, বিষয় সম্পর্কেও বিশ্লষণমূলক বর্ণনা করতে পারেসংখ্যাতত্ত্ববিদ্যা 

Continue reading →