Category Archives: তাকদীর

তকদীর প্রসঙ্গে হাদীসে কুদসী।

ইসলাম ধর্মে তকদীরে বিশ্বাস স্থাপন করা ঈমানের অঙ্গ। তকদীরের অর্থ এইযে, ভবিষ্যতে প্রত্যেক সৃষ্টির জীবনে কি ঘটিবে অনাদিকাল হইতে আল্লাহ্ তা’আলা তাহা সুরক্ষিত ফলকে (লাওহে মাহফুজ) লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিয়াছেন। মানুষকে কাজ করার ইচ্ছা, আগ্রহ ও ক্ষমতা আল্লাহ্ দান করিয়াছেন। কখন মানুষ কি কাজ করিবে তাহাও আল্লাহ্’র জ্ঞানে রহিয়াছে। ইহা আল্লাহ্’র একটি বিধান। কাজ করার ইচ্ছাশক্তি আল্লাহ্ প্রদত্ত হইলেও আল্লাহ্ মানুষকে ভাল-মন্দের জ্ঞান দান করিয়াছেন ও যুগে যুগে নবী-রাসূল প্রেরণ করিয়া সতর্ক করিয়াছেন। সুতরাং মানুষের ইচ্ছাশক্তি প্রয়োগের কোন ক্ষমতা নাই ইহা বলা চলেনা; বরং ইহা বলা যায় যে, মানুষ আল্লাহ্’র অনুমোদন ছাড়া যাহা ইচ্ছা করিতে পারেনা। মানুষের ইচ্ছাশক্তি আছে, কিন্তু উহা আল্লাহ্’র নিয়ন্ত্রণাধীন। মানুষ যেমন সীমাবদ্ধ ক্ষমতা, সীমাবদ্ধ জ্ঞান এবং সীমাবদ্ধ গুণাবলীর অধিকারী, তেমনি তাহার ইচ্ছাশক্তি প্রয়োগের ক্ষমতাও সীমাবদ্ধ। Continue reading →

তাকদীর বা ভাগ্য এবং পূর্বাভাস বা ভবিষ্যদ্বাণী এক কথা নয়।

কথাটি দৈববাণী (Prophecy) নাকি ভবিষ্যদ্বাণী (Prediction) কোনটি বেশি সঠিক প্রথমে তা নির্ণিত হওয়া উচিত। আমার মতে দৈববাণী শব্দটির সাথে ধর্মের সম্পর্ক আছে আর ভবিষ্যদ্বাণী শব্দটি পার্থিব, তাই ভবিষ্যদ্বাণী শব্দটিই বেশি গ্রহনযোগ্য। আর এই শব্দটি সুপ্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত।   দৈববাণী বললে বুঝায় দৈব বা অজ্ঞাত অদৃশ্য কোন সূত্র থেকে প্রাপ্ত কোন বাণী, আর ভবিষ্যদ্বাণী শব্দটির কাজটি আমরা বুঝি যে, কোন বিষয়ে আগাম মন্তব্য করা। কিন্তু কিভাবে এই কাজটি সম্পাদিত হয় তা হয়ত সকলে বুঝিনা। তাই এ বিষয়ে কৌতুহল থাকাটাই স্বাভাবিক। এই কৌতুহল নিবৃত্তের প্রয়াশে বিভিন্ন বই পত্র-পত্রিকা মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে বর্ণিত বিষয়াবলীর আলোকে এই আলোচনা। Continue reading →

জ্যোতিষবিদ্যা কি করতে পারে এবং জ্যোতিষের সার্থকতা কি ?

জ্যোতিষবিদ্যাকে শুধু এমন এক আয়নার সাথেই তুলনা করা যায় যাতে ভিতরের প্রকৃত মানুষটিকেই শুধু নয়, তার সারা জীবনের সমস্ত ছবিটিই তাতে দেখা যায়। মানুষের দৈহিক গঠন, বৈশিষ্ট্য, মানসিকতা থেকে শুরু করে অনেক জিজ্ঞাসা বা কৌতুহলের উত্তর, জীবনের পথনির্দেশ, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা এবং যাবতীয় সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান জ্যোতিষবিদ্যা দিতে পারে। যেকোন রোগ বা সমস্যায়, দুঃখ-হতাশা-যাতনায়, বিপদে বা দুঃশ্চিন্তায়, ব্যর্থতা বা শত্রুতায় যখন সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ, জ্যোতিষবিদ্যা তখনও সাহায্য করতে পারে দিক-নির্দেশনা দান করে। ভাগ্য গড়ে দিয়ে নয়। মানুষ নিজেই তার ভাগ্য গড়ে। জ্যোতিষবিদ্যা ভাগ্য গণনার বিষয় নয় Continue reading →

ভবিষ্যদ্বাণীর সাথে তাকদীরের কোন সম্পর্ক নেই এবং ভবিষ্যদ্বাণী, ভবিষ্যদ্বক্তা, ভবিষ্যদ্বাণীর পদ্ধতি।

কথাটি দৈববাণী (Prophecy) নাকি ভবিষ্যদ্বাণী (Prediction) কোনটি বেশি সঠিক প্রথমে তা নির্ণিত হওয়া উচিত। আমার মতে দৈববাণী শব্দটির সাথে ধর্মের সম্পর্ক আছে আর ভবিষ্যদ্বাণী শব্দটি পার্থিব, তাই ভবিষ্যদ্বাণী শব্দটিই বেশি গ্রহনযোগ্য। আর এই শব্দটি সুপ্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত।   দৈববাণী বললে বুঝায় দৈব বা অজ্ঞাত অদৃশ্য কোন সূত্র থেকে প্রাপ্ত কোন বাণী, আর ভবিষ্যদ্বাণী শব্দটির কাজটি আমরা বুঝি যে, কোন বিষয়ে আগাম মন্তব্য করা। কিন্তু কিভাবে এই কাজটি সম্পাদিত হয় তা হয়ত সকলে বুঝিনা। তাই এ বিষয়ে কৌতুহল থাকাটাই স্বাভাবিক। এই কৌতুহল নিবৃত্তের প্রয়াশে বিভিন্ন বই পত্র-পত্রিকা মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে বর্ণিত বিষয়াবলীর আলোকে এই আলোচনা। Continue reading →

কিভাবে হাতের রেখা বিশ্লেষণ করে ফলাফল বর্ণিত হয় ?

মনে রাখতে হবে যে, হাতের রেখা সমূহ এককভাবে কোন সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করেনা। একটি সমন্বিত পদ্ধতি অনুসরণ করে ফলাফল বর্ণিত হয়। কেননা কোন একটি রেখাই ব্যক্তিবিশেষে ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে থাকে। একটি একক রেখার গঠন সম্পূর্ণ কিছু নয়, অংশবিশেষমাত্র। হাতের বিশেষ বিশেষ গড়ন বিশেষ বিশেষ নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের অস্তিত্বের প্রতীকস্বরূপ। তাই হাতের রেখা বিশ্লেষণ করতে হলে– Continue reading →

তাকদীর বা ভাগ্য কি ?

তাকদীরের রহস্য সাধারনতঃ দূর্বোধ্য, তাই এ বিষয়ে জানার কৌতুহল অনেকেরই থাকতে পারে। আমি এ বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিকোন থেকে সংক্ষিপ্ত কিছু আলোচনা করার চেষ্টা করছি। যা কিছু আল্লাহ্ কর্তৃক পূর্ব নির্ধারিত তাহাই তাকদীর। তাই আল্লাহ্ পাকের সমগ্র সৃষ্টিই তাকদীরের বিধান অনুযায়ী হয়েছে। এই তাকদীরের বিধান আল্লাহ্ পাকের জারীকৃত দুইটি সুস্পষ্ট বিধান দ্বারা সীমিত। তার একটি হল আল্লাহ্ পাকের এখতিয়ারাধীন সৃষ্টিগত আইন যাকে ইসলামের পরিভাষায় তাকবিনী আইন বলে। তাকবিনী বলিতে সৃষ্টিগত কাজের ধারাবাহিক নিয়ম কানুনকে বুঝায়। যেমন “কুন” বলার সঙ্গে সঙ্গে “ফাইয়াকুন” হয়েছে। অর্থাৎ মহাবিশ্ব সৃষ্টি হইয়াছে এবং সৃষ্টির পর তাহা নিখুঁতভাবে কেয়ামত পর্যন্ত চলিতে থাকিবে। Continue reading →

জ্যোতিষবিদ্যা কি ?

সনাতন ধর্মে জ্যোতিষকে বলা হয়েছে বেদের চক্ষু স্বরূপ। তাদের বহু আচার-অনুষ্ঠানের সাথে জ্যোতিষ সরাসরি জড়িত। ইসলাম ধর্মে তকদীর একটি অনিবার্য বিষয়, লাউহে মাহফুজে সংরক্ষিত অত্যন্ত গোপনীয় বিষয়। যা একমাত্র আল্লাহ্ তায়ালাই জানেন, তার নিকটতম ফেরেশতারাও সে সম্পর্কে অজ্ঞ। কোন নবী-রাসুল (আঃ), এমনকি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পর্যন্ত তকদীরের গোপনীয়তা সম্পর্কে জানতেন না। কোন সৃষ্টির পক্ষেই সেই গোপনীয়তা সম্পর্কে জানা সম্ভব নয়। আর একথা অবিশ্বাস করলে, কিংবা তকদীরের গোপনীয়তা জানে বললে সে সঙ্গে সঙ্গে কাফের হয়ে যাবে শরীয়ত মতে। হাদীস শরীফে তকদীর সম্পর্কে বাড়াবাড়ি করাও নিষেধ আছে। সার কথা হল, ইসলামে তকদীর, নসীব, ভাগ্য, নিয়তী, কপাল, ফেট, ফরচুন বলতে যা বুঝি- সে সম্পর্কে জানা, জানতে চাওয়া, জানি বলা, কাউকে জানানো ইত্যাদি সবই মহাপাপ। প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানী হেফাজতের জন্য এসব থেকে দূরে থাকতে হবে, এবং এসব নিয়ে যারা ব্যবসা করে তাদেরকে প্রতিহত করাও ঈমানী দ্বায়ীত্ব। Continue reading →