Category Archives: সংখ্যাতত্ত্ববিদ্যা

নয় সংখ্যার মানুষ হয় সাহসী, সংগ্রামী, স্বাধীনতাপ্রিয়, একগুঁয়ে, রাগী ও কর্মঠ।

তারা অন্যকে অনুসরন করেনা, বরং অন্যে তাহাকে অনুসরন করুক সেটাই কামনা করে। তারা মনে করে তাদের জন্ম আদেশ মান্য করার জন্য নয়, বরং আদেশ করার জন্য। তারা পরিকল্পনা করে দ্রুত ফল লাভের আশা করে। তবে তারা বাস্তবধর্মী আদর্শের অধিকারী। সর্বদা কাজে উৎসাহী এবং সংগ্রামী। বিপুল শক্তির অধিকারী। কোনকিছুকে অবহেলা করেনা। যুদ্ধের গান, ছবি, সিনেমা, নাটক, গল্প ইত্যাদি বেশি পছন্দ। যুদ্ধভাবাপন্ন মনোভাব। সবকিছু অতিরঞ্জিত করে পার্থক্য দেখাতে পারে। অন্যের দূর্বলতার সুযোগে নিজের কাজ সমাধা করতে পিছপা হয়না। নয় সংখ্যা বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা তাদের পথে জয়ী হয়। জীবনে অনেক বাধার সম্মুখিন হয়, বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু ঐসব থেকে তারা নিরাপদে বেড়িয়ে আসতে পারে। অনেক ব্যাপারে তাদের ব্যক্তিগত ঝুঁকি থাকে, কিন্তু যেখানে আদর্শের প্রশ্ন থাকে, সেখানে তারা কোন মূল্যের তোয়াক্কা করেনা। Continue reading →

আট সংখ্যার মানুষ হয় বিজ্ঞ, অধ্যবসায়ী, দূরদর্শী, বিবেকবান, পরিশ্রমী, সহিষ্ণু, গম্ভীর, বিদ্রোহী এবং অদৃষ্টের হাতের পুতুল।

তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, তীব্র আত্মসম্মানবোধ, প্রবল প্রতাপ এবং বিপুল বৈশাদৃস্যময় জীবন তাদের। তারা ধীর-স্থির ও কর্তব্য কাজে অটল, বহু বাধা বিপত্তিতেও তাদেরকে কর্তব্য থেকে টলানো যায়না। তাদেরকে সাধারন মানুষ সব সময় ভুল বোঝে। হয়তো মনেকরে স্বার্থপর, ভীতু, অহংকারী বা পরশ্রীকাতর। আসলে তারা আত্মকেন্দ্রিক বটে, কিন্তু উদার হৃদয়, পরদুঃখকাতর এবং বৈশিষ্ট্যময় স্বাতন্ত্রতা সম্পন্ন। তাদের ভিতরে তপ্ত তেজ থাকলেও বাহিরে স্বল্পবাক। সেজন্যই খুব কম কথা বলা তাদের স্বভাব। জীবনে তাদের নিঃশব্দে নিঃসঙ্গতা নেমে আসতে পারে! সুফি বা বাউলদের মতো অপার্থিব স্পর্শ সুখ পাওয়ার জন্য ব্যাকুল তারা। কঠোর তাপস, অমৃতের সন্ধানী, পার্থিব বস্তুর সাথে অপার্থিব উপলব্দির সমন্বয় খোঁজে, কোন সত্যই সহজ সাধ্য নয়- এটিই বোঝাতে চায়। তাই তাদের মনের মানুষ কেউ নয়। তবে ভালবাসলে সব ত্যাগ করতে পারে। Continue reading →

সাত সংখ্যার লোকেরা হয় অচতুর, উদাসীন, কল্পনাপ্রবন, চিন্তাশীল ও জ্ঞানপিপাসু।

তারা চিন্তাবিদ, দার্শনিক, উচ্চশ্রেণীর লেখক, চিত্রকর, পণ্ডিত ও ধর্মভীরু। তবে ধর্মীয় ব্যাপারে তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গী থাকতে পারে। দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হলেও ক্ষণিকের অনুপ্রেরণা তাদের আনন্দ দেয়। কথিত বাস্তবতার চেয়ে কল্পনাশক্তিই তাদের কাছে অনেক সত্য; যদিও সুদৃঢ় ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তাদের নিজেদের দীর্ঘদিনের অনুভূতির উপর নির্ভর করে কাজ করতে কিছুতেই ভুল করেনা। কিন্তু অন্যদের উপদেশ শুনে তারা বিপথগামী হয় এবং সত্যই অনেক দুঃখ ভোগ করে। পড়াশোনায় তাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি থাকে এবং যদি তারা ছেঁড়া পোষাকও পড়ে, তবু তারা সর্বত্র সুমর্যাদা পায়। তাদের মানসিক অগ্নিশিখা পারিপার্শ্বিক ঘূর্ণিবাত্যাকে ব্যাঘাত করেনা। অভ্যাস ও মনের দিকে তারা খুব সাদাসিদে। তাড়াতাড়ি পরিকল্পনা তাদের বিপদ ডেকে আনে, দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনাই তাদের জন্য উত্তম। Continue reading →

ছয় সংখ্যার মানুষ হয় শান্তিপ্রিয়, বিলাসী, প্রেমময় ও শিল্পমনা।

তারা শুভবুদ্ধি সম্পন্ন, ধীরস্থির, ঝগড়া-বিবাদ পছন্দ করেনা বা সহজে বিবাদে জড়াতে চায়না, শান্তির জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে জানে অর্থাৎ যেকোন মূল্যে শান্তি কিনতে প্রস্তুত। ভাববিলাসী, স্বপ্নের জগতে থাকতে চায়, বিপরীতলিঙ্গের সঙ্গে সম্পর্ক নিবির। প্রেম-ভালবাসায় আকর্ষন প্রবল। সূক্ষ্মরুচিবোধ, ভোগ, কামনা, বাসনা যেমন আছে, তেমনি আছে সম্পদ, ঐশ্বর্য আর বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষন। আছে ভদ্রতা, কেতাদুরস্ত আদব কায়দা ও বিলাসিতার প্রতি আকর্ষণ। বিজ্ঞান, ভূতত্ব, বিভিন্ন শাস্ত্র অধ্যয়নে অদম্য স্পৃহা আছে। একাধিক বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে যৌনক্ষুধা মেটানোর চাতুরী জানা আছে। সমাজে আনন্দই তার একমাত্র নেশা। কল্পনাই তার নিত্য সঙ্গী। ছন্দময় লঘু সঙ্গীতের ভক্ত। নিজের প্রতি অন্যকে আকর্ষণ করার ক্ষমতা প্রবল। অন্য সংখ্যার লোকেরা সহজেই তাদের প্রেমে পড়ে। তারা নিজেরাও সুন্দরের প্রতি আকর্ষিত হয়। পবিত্রতা ও সুগন্ধ দ্রব্য তাদের পছন্দ, অম্লরস তাদের প্রিয়, তারা সুজন ও শাষ্ত্রজ্ঞ। Continue reading →

পাঁচ সংখ্যার মানুষ হয় বাকপটু, মেধাবী, সতর্ক ও চঞ্চল।

পাঁচ সংখ্যার মানুষেরা সকল কাজে দক্ষ এবং উপস্থিত বুদ্ধি সম্পন্ন। তীক্ষ্ণ মেধা, ধীশক্তি এবং সংবেদনশীল। যেকোন পরিবেশে উপস্থিত বুদ্ধির বলে সহজেই নিজের সম্মান প্রতিষ্ঠা করতে পারে। সুনাম অর্জন করতে পারে। দ্রুতগতিতে ক্ষমতার উচ্চ শিখরে উঠতে চায়। জ্ঞানী-গুণীর সান্নিধ্য লাভ করে। বুদ্ধিমান, বাস্তববাদী, বাকপটু, ধৈর্য্যশীল, সতর্ক, চঞ্চল, চতুর, যুক্তিবাদী, অনেক সময় অযথা চিন্তা করে। নানাভাবে জীবনকে দেখে। সব কাজে একসঙ্গে হাত দিতে চায়। কোনটা আগে শেষ করবে বুঝে উঠতে পারবেনা। Continue reading →

চার সংখ্যার মানুষ হয় বাস্তবমুখি ও বুদ্ধিমান।

তারা নিজস্ব ব্যক্তিত্ব নিয়ে থাকেন, তাদেরকে পরিষ্কার ভাবে বোঝা কঠিন। উল্লেখযোগ্য ও স্বাতন্ত্রতা বোধের জন্য তাদেরকে গম্ভীর, গর্বিত ও তীক্ষ্ণ বলে মনে হতে পারে। সাধারন বা ছোট খাট বিষয়ে না জড়িয়ে তারা বৃহত্তর ব্যাপারে মাথা ঘামাতে পারেন। রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক, অর্থনৈতিক বা আধ্যাত্মিক জীবনে তারা বিপ্লব আনার চেষ্টা করেন। শ্রমিক আন্দোলন ও সাংগঠনিক কাজে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করতে পারেন। যেকোন কাজে তাদের দক্ষতার পরিচয় থাকে। বিপাকে পড়লে কৌশলে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন, এমনকি নিজেকে পাল্টাতেও পারেন। আর্থিক লেন-দেনে অনর্থক সময়ক্ষেপন করতে পারেন। তাদের প্রতিভা বহুমুখী, চিন্তা সীমাহীন, আশা মাত্রাতিরিক্ত। কুসংস্কার মানেন না। অপরের মতামত গ্রাহ্য করেন না। আত্ম প্রশংসা পছন্দ করেন। নিজের পাওনা ষোল আনা বুঝে নিতে চান। Continue reading →

তিন সংখ্যার লোকেরা হয় ধীর স্থির নিয়মানুবর্তি ও ধার্মিক।

মানুষের জীবন যাত্রায় তিন সংখ্যার ক্রিয়া কলাপ অসীম। যে কোন সংখ্যার লোকের মধ্যে এই সংখ্যাটি কখনো প্রত্যক্ষ আবার কখনো পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করে। এটি বৃহস্পতির প্রতীক। চাকুরী, ব্যবসা বা ধর্মীয় বিষয়ে তারা কর্মদক্ষতা প্রমান করতে পারে। তারা ধীর স্থির, নিয়মানুবর্তি, বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন ও ধার্মিক। সবার সাথে খাপ খাওয়াতে চেষ্টা করে। পরমতাবলীতে নিবেদিত প্রাণ তারা। তাদের জীবনে উথ্থান-পতন জনিত জীবন নাট্যের ক্লাইমেক্স খুব কমই দেখা যায়। তবে অনেক ক্ষেত্রে লোভনীয় নেতা হবার সুযোগ আসলেও অনেকে অনাগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। তাদের মধ্যে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে একটা আধ্যাত্মিক চেতনা বৃদ্ধি পায়। Continue reading →

দুই সংখ্যার লোকেরা হয় আবেগপ্রবন।

সংখ্যাতত্ত্ব মতে দুই সংখ্যার লোকেরা হয়- আবেগপ্রবন, অনুভূতিশীল, কোমল হৃদয়, কল্পনাপ্রিয়, ভদ্র, নম্র, লাজুক, বৈচিত্রপ্রিয় ও শিল্পীমনা। তারা ভাবপ্রকাশে কুন্ঠিত এবং তাদের মন ও চিন্তা দ্বি-ধারায় প্রবাহিত হয়। তাদের মনের স্থিরতা নেই বলে ভাবধারায় দ্রুত পরিবর্তন আসে। তাদের আত্ম-সম্মান জ্ঞান প্রচণ্ড। তাই আত্ম-সম্মান বিসর্জন দিয়ে তারা কোন কিছু করতে পারেনা। তারা সামাজিক রীতি-নীতির প্রতি আকৃষ্ট। জীবন ও ঘর-সংসার তাদের কাছে প্রিয়। তারা আত্মত্যাগী বলে প্রিয়জনদের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে জানে। তাদের জীবনের ট্র্যাজেডি হল Continue reading →

এক সংখ্যার মানুষ হয় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন।

তাকে ধীরস্থির ও গম্ভীর মনে হলেও দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে জানে, কর্মে সক্রিয়, তেজী, নির্ভীক, পরাক্রমশালী, আত্মবিশ্বাসী, অহংকারী, চতুর, বাস্তববাদী এবং উচ্চাকাঙ্খী। উচ্চাকাঙ্খা বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকে। সহজে হার স্বীকার করেনা। মনোবল প্রচুর বলে ভয় পেয়ে পিছু হটেনা। প্রবল বিপর্যয়ের মধ্যেও ধীরস্হিরভাবে কুটিল বুদ্ধির দ্বারা এগিয়ে যেতে পারে। অন্যকে বোকা বানাতে পারে। নিজের অবস্থান দৃঢ় করার জন্য যা করা দরকার করতে পারে। চেহারায় আকর্ষনীয় শক্তি থাকায় সহজেই অন্যেরা আকৃষ্ট হয়। ব্যক্তিত্বসম্পন্ন বলে Continue reading →

সংখ্যার শিকল থেকে কেউ মুক্ত নই।

সংখ্যার একটি গোপন শক্তি আছে! আর তা এমন এক শক্তি যা শুধু প্রকৃতির শক্তির সাথেই তুলনা করা চলে। কেননা মানুষ জগতের সকল আইনকে অমান্য করতে পারলেও সংখ্যাকে কেউ উপেক্ষা করতে পারেনা। এড়িয়ে যেতে পারেনা। সংখ্যার শক্তি গোপনে মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র, প্রতিটি কর্ম, প্রতিটি বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছে। কেউ যদি সংখ্যার শক্তি সম্বন্ধে অবগত নাও থাকে বা এ বিষয়ে কোন আগ্রহও না থাকে, তবুও সে সংখ্যাকে মেনে চলছে। সংখ্যার অলৌকিক মহাশক্তির কাছে আমরা সকলেই তার ইচ্ছাধীন। সংখ্যার শিকল যে মানুষকে গোপনে বেঁধে রেখেছে এবং এ থেকে মুক্তি পাওয়ার যে পথ নেই তার প্রমান সকলেই দিবেন। সংখ্যার যে অলৌকিক মহাশক্তি আছে, তা আমরা আমাদের দৈনন্দিন কাজের বিশ্লেষণ করলেই বুঝতে পারব। আর তখনি কোরআনের কথার নির্ভূল সত্যতা অনুধাবন করতে পারব। Continue reading →

জন্মসংখ্যা ও নামসংখ্যা নির্ণয় পদ্ধতি।

পূর্বের পোস্টেই বলেছিলাম সংখ্যা নির্ণয় পদ্ধতি জানাব, তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক আমাদের প্রত্যেকের সংখ্যাগুলি। সংখ্যা দুই প্রকারে নির্ণয় করা যায়, একটি জন্মসংখ্যা অপরটি নামসংখ্যা। সঠিক জন্মতারিখ জানা থাকলেই শুধু জন্মসংখ্যা নির্ণয় করা সম্ভব। নতুবা নামসংখ্যাই ধরতে হবে। উল্লেখ্য যে, জন্মসংখ্যার মত নামসংখ্যা অতটা ভূমিকা রাখতে পারেনা বলে জন্মসংখ্যার গুরুত্বই বেশি। আবার জন্মসংখ্যাও দুই প্রকারের, একটি জন্মদিনের সংখ্যা অপরটি জন্মতারিখের সংখ্যা। যেমন, কারো জন্ম ১৪ জুন ২০১৩ যদি হয়, তাহলে তার জন্মদিনের সংখ্যা হল- ৫। আর তার জন্মতারিখের সংখ্যা হল- ৮। যদিও দুটি সংখ্যাই তার জীবনে প্রভাব বিস্তার করবে, তবে জন্মদিনের সংখ্যাই হবে মূখ্য। এবার বলছি কিভাবে সংখ্যা দুটি নির্ণিত হল। Continue reading →

সংখ্যাতত্ত্ববিদ্যা কি করতে পারে?

সংখ্যাতত্ত্ববিদ্যা সংখ্যা প্রতীক নিয়ে কাজ করে কারো নাম ও জন্মতারিখকে সংখ্যাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে তার ব্যক্তিত্ব, বৈশিষ্ট্য, আবেগের বিষয়গুলি, শক্তি ও বুদ্ধিমত্তা সর্বোপরি ভিতরের প্রকৃত মানুষটিকে জানতে সাহায্য করে আর ভিতরের প্রকৃত মানুষটিকে জানতে যে বিদ্যা সাহায্য করতে পারে সে বিদ্যা অবশ্যই মানুষের কল্যান করে তা ছাড়া কোন স্থান, সময়, বিষয় সম্পর্কেও বিশ্লষণমূলক বর্ণনা করতে পারেসংখ্যাতত্ত্ববিদ্যা 

Continue reading →

সংখ্যাতত্ত্ববিদ্যা কি ?

জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি জীবনের প্রতিটি মূহূর্তেই মানুষ নিজেকে, নিজের পরিমন্ডলকে, সময়কে এককথায় সবকিছুকে একমাত্র সংখ্যা দ্বারাই পরিচিত করে। আর তা করে প্রায় অসচেতন থেকেই। যেমন,- কারোনাম, স্থানেরনাম, বিষয়েরনাম বা দিন, তারিখ, সময় ইত্যাদি যা কিছুই বলিনা কেন সব কিছুর মাঝেই লুকিয়ে আছে সংখ্যা! কিভাবে? Continue reading →