Category Archives: রাশিচক্র

রাশিচক্র

জ্যোতির্বিজ্ঞানে রাশিচক্র (ইংরেজি ভাষায়: Zodiac, গ্রিক ভাষায়: ζῳδιακός বা জোডিয়াকোস) বলতে আকাশে সূর্যের আপাত গতিপথের ১২টি ভাগকে বোঝায়। এই আপাত গতিপথের নাম ভূকক্ষ কারণ, প্রকৃতপক্ষে এটি সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর কক্ষপথ। ভূকক্ষের খ-দ্রাঘিমাকে ১২টি ভাগে ভাগ করা হয় যার প্রতিটি ৩০ ডিগ্রি করে। এভাবে মোট ১২টি বিভাগ মিলে ৩৬০ ডিগ্রি তথা একটি বৃত্ত তৈরি করে। ভূকক্ষের সমতল থেকে ৮-৯ ডিগ্রি উত্তর বা দক্ষিণ (খ-অক্ষাংশ) পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলটিকে বলা হয় রাশিবন্ধনী (zodiacal belt)। চাঁদ এবং খালি চোখে দৃশ্যমান গ্রহগুলোর গতিপথও এই বন্ধনীর মধ্যে অবস্থান করে।

কিন্তু বাস্তবিক অর্থে রাশিচক্র কেবলই একটি খ-স্থানাংক ব্যবস্থা, আরও নির্দিষ্ট করে বললে এটি এক ধরণের ভূকক্ষীয় স্থানাংক ব্যবস্থা। প্রতিটি স্থানাংক ব্যবস্থা তৈরি করতে প্রয়োজন পড়ে একটি প্রসঙ্গ তল যেখান থেকে অক্ষাংশ গণনা শুরু হয়, এবং প্রসঙ্গ তলে এমন একটি প্রসঙ্গ বিন্দু যেখান থেকে দ্রাঘিমাংশ গণনা শুরু হয়। রাশিচক্রের ক্ষেত্রে সেই প্রসঙ্গ তল হচ্ছে ভূকক্ষ এবং ভূকক্ষের প্রসঙ্গ বিন্দুটি হচ্ছে মহাবিষুবের সময় সূর্যের অবস্থান। Continue reading →

রাশি কি?

রাশি শব্দের সাধারন অর্থ- রাশ বা সমষ্টি, স্তুপ, সন্নিবেশিত, সন্নিকটে, একত্রে জড়োকৃত ইত্যাদি। যেমন- রাশি রাশি বললে অনেক গুলি বুঝায়। কিন্তু জ্যোতিষবিদ্যায় একত্রে কতগুলি জড়োকৃত নক্ষত্রের কল্পিত আকৃতি নিয়ে রাশি কথাটি এসেছে। অর্থাৎ অনেকগুলি তারকা সমন্বয়ে গঠিত বলেই রাশি নামকরন হয়েছে। প্রাচীনগণ রাশির বৈশিষ্ট্য এবং নক্ষত্রমন্ডলের দৃশ্যমান চিত্রানুযায়ী বিভিন্ন প্রাণী ও চিহ্ন সমন্বয়ে রাশি সমূহের কল্পিত নামকরন করেন। যেমন- মেষ, বৃষ, মিথুন, কর্কট, সিংহ, কন্যা, তুলা, বৃশ্চিক, ধনু, মকর, কুম্ভ ও মীন। Continue reading →

জ্যোতিষবিদ্যা কি ?

সনাতন ধর্মে জ্যোতিষকে বলা হয়েছে বেদের চক্ষু স্বরূপ। তাদের বহু আচার-অনুষ্ঠানের সাথে জ্যোতিষ সরাসরি জড়িত। ইসলাম ধর্মে তকদীর একটি অনিবার্য বিষয়, লাউহে মাহফুজে সংরক্ষিত অত্যন্ত গোপনীয় বিষয়। যা একমাত্র আল্লাহ্ তায়ালাই জানেন, তার নিকটতম ফেরেশতারাও সে সম্পর্কে অজ্ঞ। কোন নবী-রাসুল (আঃ), এমনকি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পর্যন্ত তকদীরের গোপনীয়তা সম্পর্কে জানতেন না। কোন সৃষ্টির পক্ষেই সেই গোপনীয়তা সম্পর্কে জানা সম্ভব নয়। আর একথা অবিশ্বাস করলে, কিংবা তকদীরের গোপনীয়তা জানে বললে সে সঙ্গে সঙ্গে কাফের হয়ে যাবে শরীয়ত মতে। হাদীস শরীফে তকদীর সম্পর্কে বাড়াবাড়ি করাও নিষেধ আছে। সার কথা হল, ইসলামে তকদীর, নসীব, ভাগ্য, নিয়তী, কপাল, ফেট, ফরচুন বলতে যা বুঝি- সে সম্পর্কে জানা, জানতে চাওয়া, জানি বলা, কাউকে জানানো ইত্যাদি সবই মহাপাপ। প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানী হেফাজতের জন্য এসব থেকে দূরে থাকতে হবে, এবং এসব নিয়ে যারা ব্যবসা করে তাদেরকে প্রতিহত করাও ঈমানী দ্বায়ীত্ব। Continue reading →