Category Archives: মানুষ

মানুষের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে কিছু কথা ও জ্যোতিষবিদ্যার পরবর্তী অংশ।

পূর্বের পোস্টে বলেছিলাম, ব্যক্তিত্বের মাপকাঠি বিভিন্ন হওয়ায় ব্যক্তিত্বের শ্রেণীকরণ সম্পর্কে মনোবিজ্ঞানীরা একমত নন। বিভিন্ন মনোবিজ্ঞানী ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন শ্রেণীকরণ করেছেন। নিম্নে ব্যক্তিত্বের কতকগুলি সুপ্রসিদ্ধ শ্রেণীকরণ সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

Continue reading →

মানুষের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে কিছু কথা ও জ্যোতিষবিদ্যা ।

ব্যক্তির আকৃতি, গঠন, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, শিক্ষণ, বুদ্ধি, চরিত্র, অভ্যাস, মেজাজ, আচার-আচরণ, অনুভূতি, মনোভাব, প্রেষণা, তাড়না, প্রবনতা, উপলব্দি, আকাঙ্খা, আবেগ, আগ্রহ, অনুরাগ, দৃষ্টিভঙ্গী, মূল্যবোধ, আদর্শ ও বিশ্বাস সবকিছুর সমন্বিত রূপই ব্যক্তিত্ব। যা তাকে অনন্যতা দান করে। মনোবিজ্ঞানী ক্রাইডার এবং অন্যান্যদের মতে- “ব্যক্তিত্ব হল ব্যক্তির মনোদৈহিক প্রক্রিয়া সমূহের এক গতিময় সংগঠন যা পরিবেশের সাথে তার অনুপম অভিযোজন নির্ধারন করে।” এছাড়াও অন্যান্য মনোবিজ্ঞানীগণ বিভিন্নভাবে ব্যক্তিত্বের ধারনা প্রদান করেছেন। সার কথা হল- কতগুলো বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলীর সংগঠনকে ব্যক্তিত্ব বলে। জৈব, মানসিক, সামাজিক বিষয়াবলীর পারস্পরিক ক্রিয়া ব্যক্তিত্ব সংগঠনের নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে।

Continue reading →

মানুষের বৈশিষ্ট্যের মূলে জিন, জিন বিন্যাসের মূলে গ্রহ-নাক্ষত্রিক প্রভাব, আর গ্রহ-নক্ষত্র নিয়ন্ত্রিত হয় স্রষ্টার বেধে দেয়া নিয়মে।

মানুষে মানুষে যতই মিল থাকুকনাকেন বেমিল তথা পার্থক্য থাকবেই। এই পার্থক্য যেমন আকার-আকৃতি ও রূপ-লাবণ্যের, তেমনি চলার ছন্দ ও আচরণগত, তেমনি চিন্তা-চেতনা ও মানসিকতার। এগুলি বলে শেষ করার নয়। বিজ্ঞানীরা এই পার্থক্যের দুটি প্রধান কারন নির্দেশ করেছেন- বংশগতি (Heredity) ও পরিবেশ (Environment)। বংশগতি বলতে Continue reading →

প্রতিটি মানুষের আচরণের পেছনে প্রেষণা জড়িত,আর নির্দিষ্ট প্রেষণার পেছনে গ্রহ-নাক্ষত্রিক প্রভাব।

মানব আচরণ যেসব অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াসমূহের দ্বারা পরিচালিত হয় প্রেষণা (Motivation) তাদের মধ্যে অন্যতম। প্রেষণার দ্বারা তাড়িত হয়েই মানুষ কর্মে লিপ্ত হয়। মানুষের বিচিত্র আচরণ ও কর্মতৎপরতার পেছনে কোননা কোন ধরণের প্রেষণা যুক্ত থাকে। মানুষকে তার দৈনন্দিন জীবন পরিচালনায় অসংখ্য প্রেষণা তাড়িত করে থাকে। যেমন- Continue reading →

তাকদীর বা ভাগ্য এবং পূর্বাভাস বা ভবিষ্যদ্বাণী এক কথা নয়।

কথাটি দৈববাণী (Prophecy) নাকি ভবিষ্যদ্বাণী (Prediction) কোনটি বেশি সঠিক প্রথমে তা নির্ণিত হওয়া উচিত। আমার মতে দৈববাণী শব্দটির সাথে ধর্মের সম্পর্ক আছে আর ভবিষ্যদ্বাণী শব্দটি পার্থিব, তাই ভবিষ্যদ্বাণী শব্দটিই বেশি গ্রহনযোগ্য। আর এই শব্দটি সুপ্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত।   দৈববাণী বললে বুঝায় দৈব বা অজ্ঞাত অদৃশ্য কোন সূত্র থেকে প্রাপ্ত কোন বাণী, আর ভবিষ্যদ্বাণী শব্দটির কাজটি আমরা বুঝি যে, কোন বিষয়ে আগাম মন্তব্য করা। কিন্তু কিভাবে এই কাজটি সম্পাদিত হয় তা হয়ত সকলে বুঝিনা। তাই এ বিষয়ে কৌতুহল থাকাটাই স্বাভাবিক। এই কৌতুহল নিবৃত্তের প্রয়াশে বিভিন্ন বই পত্র-পত্রিকা মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে বর্ণিত বিষয়াবলীর আলোকে এই আলোচনা। Continue reading →

জ্যোতিষবিদ্যা কি করতে পারে এবং জ্যোতিষের সার্থকতা কি ?

জ্যোতিষবিদ্যাকে শুধু এমন এক আয়নার সাথেই তুলনা করা যায় যাতে ভিতরের প্রকৃত মানুষটিকেই শুধু নয়, তার সারা জীবনের সমস্ত ছবিটিই তাতে দেখা যায়। মানুষের দৈহিক গঠন, বৈশিষ্ট্য, মানসিকতা থেকে শুরু করে অনেক জিজ্ঞাসা বা কৌতুহলের উত্তর, জীবনের পথনির্দেশ, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা এবং যাবতীয় সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান জ্যোতিষবিদ্যা দিতে পারে। যেকোন রোগ বা সমস্যায়, দুঃখ-হতাশা-যাতনায়, বিপদে বা দুঃশ্চিন্তায়, ব্যর্থতা বা শত্রুতায় যখন সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ, জ্যোতিষবিদ্যা তখনও সাহায্য করতে পারে দিক-নির্দেশনা দান করে। ভাগ্য গড়ে দিয়ে নয়। মানুষ নিজেই তার ভাগ্য গড়ে। জ্যোতিষবিদ্যা ভাগ্য গণনার বিষয় নয় Continue reading →

রং বা বর্ণ কি এবং জ্যোতিষবিদ্যার সাথে সম্পর্ক ?

সূর্যের আলোক বর্ণালীবিক্ষণ যন্ত্রের (Color Prism) মাধ্যমে বিশ্লেষণ করলে নিম্ন লিখিত সাতটি বর্ণের মিশ্রন দেখতে পাওয়া যায়- লাল (Red), কমলা (Orange), হলুদ (Yellow), সবুজ (Green), নীল (Blue), নীল-বেগুনী (Indigo) এবং বেগুনী (Violet)। রংধনুর মধ্যেও এই রংগুলি দেখতে পাই। এই বর্ণসমূহকে একত্রে “সৌরবর্ণালী” (Spectrum) বলা হয়। নিউটন এই সাতটি বর্ণকেই প্রাথমিক বা মৌলিক বর্ণ বলিয়া বিশ্বাস করিতেন। মনে রাখিবার জন্য প্রত্যেক বর্ণের প্রথম অক্ষর লইয়া সংক্ষেপে একটি অর্থহীন শব্দ করা হয়- ভিবগিঅর (Vibgyor)। সৌরবর্ণালীতে প্রকৃতিতে যত রং আছে সকলেরই সমাবেশ দেখা যায়। অন্যান্য রং এই সাতটি বর্ণের মধ্যে দুই বা ততোধিক বর্ণের সংমিশ্রণের ফল। Continue reading →

কার চারিত্রিক ও মানসিক বৈশিষ্ট্য কেমন তা জ্যোতিষবিদ্যা নির্ণয় করে দিতে পারে !

জ্যোতিষবিষয়ক লেখা বা প্রকাশনা বাংলাদেশে খুবই কম, নির্ভরযোগ্য শিক্ষামূলক লেখা আরও কম, গবেষনামূলক লেখা নেই বললেই চলে। তাই পড়ার জন্য বিদেশী, বিশেষকরে ভারতীয় বইয়ের উপরই নির্ভর করতে হয়। তাও বাংলা বই যথেষ্ট নয়, বেশিরভাগই ইংরেজি। এমতাবস্থায় বাংলাদেশে বাংলাভাষায় জ্যোতিষবিষয়ক, তদুপরি গবেষণামূলক লেখার সাহস দুঃসাহসই বটে। তবুও যদি পাঠকপ্রিয়তা পায় লেখার উৎসাহটা বৃদ্ধি পাবে নিশ্চয়ই। Continue reading →

এস্ট্রলজিতে বিশ্বাস-অবিশ্বাস

সকল মানুষের মধ্যে সকল যোগ্যতা থাকেনা সত্য, কিন্তু কিছু মানুষের মধ্যে কিছু যোগ্যতার বীজ সুপ্ত থাকে যা অনুকুল পরিবেশ পেলে সময়ে তার অঙ্কুর উদ্গম হয়। আর তার সাথে প্রয়োজনীয় জোগান পেলে এবং চেষ্টা থাকলে এক সময় বিরাট মহীরুহে পরিনত হতে পারে। এজন্যই চেষ্টা করে যেতে হবে। জগতে যারা সৌভাগ্যবান তারা চেষ্টা করেই সৌভাগ্য অর্জন করেন বলেই আমরা জানি, কিন্তু আমরা জানিনা তারা যে জন্মগতভাবেই সৌভাগ্যের বীজ বয়ে এনেছেন। আর সেটা জানতে হলে এস্ট্রলজিকে জানতে হবে। Continue reading →

সংখ্যাতত্ত্ববিদ্যা কি ?

জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি জীবনের প্রতিটি মূহূর্তেই মানুষ নিজেকে, নিজের পরিমন্ডলকে, সময়কে এককথায় সবকিছুকে একমাত্র সংখ্যা দ্বারাই পরিচিত করে। আর তা করে প্রায় অসচেতন থেকেই। যেমন,- কারোনাম, স্থানেরনাম, বিষয়েরনাম বা দিন, তারিখ, সময় ইত্যাদি যা কিছুই বলিনা কেন সব কিছুর মাঝেই লুকিয়ে আছে সংখ্যা! কিভাবে? Continue reading →

কিভাবে হাতের রেখা বিশ্লেষণ করে ফলাফল বর্ণিত হয় ?

মনে রাখতে হবে যে, হাতের রেখা সমূহ এককভাবে কোন সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করেনা। একটি সমন্বিত পদ্ধতি অনুসরণ করে ফলাফল বর্ণিত হয়। কেননা কোন একটি রেখাই ব্যক্তিবিশেষে ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে থাকে। একটি একক রেখার গঠন সম্পূর্ণ কিছু নয়, অংশবিশেষমাত্র। হাতের বিশেষ বিশেষ গড়ন বিশেষ বিশেষ নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের অস্তিত্বের প্রতীকস্বরূপ। তাই হাতের রেখা বিশ্লেষণ করতে হলে– Continue reading →

তাকদীর বা ভাগ্য কি ?

তাকদীরের রহস্য সাধারনতঃ দূর্বোধ্য, তাই এ বিষয়ে জানার কৌতুহল অনেকেরই থাকতে পারে। আমি এ বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিকোন থেকে সংক্ষিপ্ত কিছু আলোচনা করার চেষ্টা করছি। যা কিছু আল্লাহ্ কর্তৃক পূর্ব নির্ধারিত তাহাই তাকদীর। তাই আল্লাহ্ পাকের সমগ্র সৃষ্টিই তাকদীরের বিধান অনুযায়ী হয়েছে। এই তাকদীরের বিধান আল্লাহ্ পাকের জারীকৃত দুইটি সুস্পষ্ট বিধান দ্বারা সীমিত। তার একটি হল আল্লাহ্ পাকের এখতিয়ারাধীন সৃষ্টিগত আইন যাকে ইসলামের পরিভাষায় তাকবিনী আইন বলে। তাকবিনী বলিতে সৃষ্টিগত কাজের ধারাবাহিক নিয়ম কানুনকে বুঝায়। যেমন “কুন” বলার সঙ্গে সঙ্গে “ফাইয়াকুন” হয়েছে। অর্থাৎ মহাবিশ্ব সৃষ্টি হইয়াছে এবং সৃষ্টির পর তাহা নিখুঁতভাবে কেয়ামত পর্যন্ত চলিতে থাকিবে। Continue reading →

জ্যোতিষবিদ্যা কি ?

সনাতন ধর্মে জ্যোতিষকে বলা হয়েছে বেদের চক্ষু স্বরূপ। তাদের বহু আচার-অনুষ্ঠানের সাথে জ্যোতিষ সরাসরি জড়িত। ইসলাম ধর্মে তকদীর একটি অনিবার্য বিষয়, লাউহে মাহফুজে সংরক্ষিত অত্যন্ত গোপনীয় বিষয়। যা একমাত্র আল্লাহ্ তায়ালাই জানেন, তার নিকটতম ফেরেশতারাও সে সম্পর্কে অজ্ঞ। কোন নবী-রাসুল (আঃ), এমনকি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পর্যন্ত তকদীরের গোপনীয়তা সম্পর্কে জানতেন না। কোন সৃষ্টির পক্ষেই সেই গোপনীয়তা সম্পর্কে জানা সম্ভব নয়। আর একথা অবিশ্বাস করলে, কিংবা তকদীরের গোপনীয়তা জানে বললে সে সঙ্গে সঙ্গে কাফের হয়ে যাবে শরীয়ত মতে। হাদীস শরীফে তকদীর সম্পর্কে বাড়াবাড়ি করাও নিষেধ আছে। সার কথা হল, ইসলামে তকদীর, নসীব, ভাগ্য, নিয়তী, কপাল, ফেট, ফরচুন বলতে যা বুঝি- সে সম্পর্কে জানা, জানতে চাওয়া, জানি বলা, কাউকে জানানো ইত্যাদি সবই মহাপাপ। প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানী হেফাজতের জন্য এসব থেকে দূরে থাকতে হবে, এবং এসব নিয়ে যারা ব্যবসা করে তাদেরকে প্রতিহত করাও ঈমানী দ্বায়ীত্ব। Continue reading →