সংখ্যার শিকল থেকে কেউ মুক্ত নই।

সংখ্যার একটি গোপন শক্তি আছে! আর তা এমন এক শক্তি যা শুধু প্রকৃতির শক্তির সাথেই তুলনা করা চলে। কেননা মানুষ জগতের সকল আইনকে অমান্য করতে পারলেও সংখ্যাকে কেউ উপেক্ষা করতে পারেনা। এড়িয়ে যেতে পারেনা। সংখ্যার শক্তি গোপনে মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র, প্রতিটি কর্ম, প্রতিটি বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছে। কেউ যদি সংখ্যার শক্তি সম্বন্ধে অবগত নাও থাকে বা এ বিষয়ে কোন আগ্রহও না থাকে, তবুও সে সংখ্যাকে মেনে চলছে। সংখ্যার অলৌকিক মহাশক্তির কাছে আমরা সকলেই তার ইচ্ছাধীন। সংখ্যার শিকল যে মানুষকে গোপনে বেঁধে রেখেছে এবং এ থেকে মুক্তি পাওয়ার যে পথ নেই তার প্রমান সকলেই দিবেন। সংখ্যার যে অলৌকিক মহাশক্তি আছে, তা আমরা আমাদের দৈনন্দিন কাজের বিশ্লেষণ করলেই বুঝতে পারব। আর তখনি কোরআনের কথার নির্ভূল সত্যতা অনুধাবন করতে পারব।

পবিত্র কোরআন শরীফে আল্লাহ্ বলেন, – “………তিনি সূর্য্যকে করেছেন উজ্জল আর চন্দ্রকে করেছেন আলোকপ্রদ আর তার (চন্দ্রের) জন্য নির্ধারিত করেছেন অবস্থান সমূহ যেন তোমরা জানতেপার সংখ্যা ও হিসাব। আল্লাহ্ এদেরকে সৃষ্টি করেননি সত্যে ভিন্ন; তিনি নির্দেশনাবলী বিশদ করেন সেই লোকদের জন্য, যাদের জ্ঞান আছে। নিঃসন্দেহ রাত্রি ও দিনের পার্থক্যে আর যা আল্লাহ্ সৃষ্টি করেছেন অন্তরীক্ষে ও পৃথিবীতে (এসবে) নিদর্শন রয়েছে সেই লোকদের জন্য, যারা সীমা রক্ষা করে।” – সূরা ইউনুস, ১ : ৫-৬।

যেহেতু সংখ্যার শিকল থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ নেই, যেহেতু জীবন চলার পথে সংখ্যা ওতপ্রোতভাবে জড়িত, সেহেতু আমরা যদি জেনে বুঝে সেই সংখ্যাকে আমাদের প্রয়োজনের অনুকুলে ব্যবহার করতে পারি তবে আমরা অবশ্যই উপকৃত হব। সংখ্যাতত্ত্ব মূলতঃ সেই অতীন্দ্রিয়, রহস্যময়, গোপন কৌশলটাই ব্যাখ্যা করে আমাদেরকে পথ-নির্দেশ দিতে পারে। আমরা যদি তা জেনে নিতে পারি, তবে প্রকৃতির পরিকল্পনার আয়ত্বে আসতে পারব। ফলে জীবন হতে পারে অপেক্ষাকৃত নির্ঝঞ্ঝাট, শান্তিময় ও পরিপাটি। আমরা হতে পারি অপেক্ষাকৃত সুখি ও সফল। নচেৎ অন্ধকারে পথচলা পথিকের পরিণতিই বরণ করতে হতে পারে আমাদেরকে।

পূর্বের পোস্টেই বলেছিলাম, পরবর্তীতে কোন সংখ্যার লোকেরা কেমন হয় তা লিখার চেষ্টা করব । কিন্তু সংখ্যার শক্তি সম্পর্কে এই কথাগুলি না বললে অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। তাই পুনঃরায় বলছি, পরবর্তী পোস্টে কোন সংখ্যার লোকেরা কেমন হয় ধারাবাহিকভাবে তা লিখার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ্।